লোগো ডিজাইন কি
একটি চিত্র ( ইমেজ) বা শব্দের মাধ্যমে এক সাথে অনেক কিছুই বহিঃপ্রকাশ করার মাধ্যমই হলো লোগো । একটি লোগো এর মাধ্যমে একটি দেশ, প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি বা ব্যাক্তিত্ব সহ অনেক কিছু প্রকাশ করা যায়। এই জন্যই লোগো এর ব্যবহার করা হয় প্রতিটা প্রতিষ্টান এ। একট লোগো তখনি সার্থক হয় যখন কেউ সিম্বল দেখলে চোখের সামনে কোম্পানি, দেশ, প্রতিষ্ঠান এর সংক্ষেপে সম্পুর্ণ চিত্র ভেসে উঠে। এক জন গ্রাফিক্স ডিজাইনার ক্লায়েন্টের ভাবাদর্শ অনুযায়ী লোগো তৈরি করে থাকে ইলাস্ট্রেটর অথবা ফটোশপ দিয়ে। এটি দেখতে যতটা সাধারণ মনে হয় আসলে তা নয়। একটি লোগো ডিজাইন করার সময় যে বিষয় এর উপর ডিজাইন তৈরি করতে হবে তার সব দিক লক্ষ্য রেখে তা ফুটিয়ে তুলতে হয়।
লোগো ডিজাইনের কাজ শুরু করার আগে করণীয় – স্কেচ শুরু করার আগে আপনাকে ক্লায়েন্টের পিছে কিছু সময় ব্যয় করতে হবে আপনার। কারণ লোগো শুধু সুন্দর দেখতে হলে হবে না এতে সেই ব্র্যান্ড এর ম্যাসেজ ও থাকতে হবে যার জন্য লোগো তৈরি করছেন। কারণ একটি ব্র্যান্ড সম্পর্কে মানুষ জানে তার লোগো দিয়ে। তাই আপনি শুধু সুন্দর একটা লোগো তৈরি করবেন তা নয়। আপনাকে এমন একটি সিম্বল তৈরি করতে হবে যাতে যে কোম্পানির পণ্য বা সেবা সম্পর্কে, অথবা যার জন্য লোগো তৈরি করছেন তার ম্যাসেজটি সিম্বল এর মধ্যে লুকিয়ে থাকে আবার তা মানুষ বুঝতে ও পারে। আর এই জন্য আপনাকে ক্লায়েন্টের পিছনে সময় ব্যায় করতে হবে, ক্লায়েন্টের অডিয়েন্স কারা হবে তা জানতে আপনাকে রিসার্চ করতে হবে। আপনাকে মনোযোগ দিয়ে ক্লায়েন্ট এর চাহিদা সম্পর্কে জানতে হবে এবং ক্লায়েন্টের মন মতো তা তৈরি করতে হবে। দেশ,জাতি, বর্ণভেদে লোগোর ডিজাইন করতে হয় কারণ এই সব সবার এক নয়। আপনার ক্লায়েন্ট যদি ভিন্ন দেশের হয় তাহলে আপনাকে তার কালচার সম্পর্কে জানতে হবে। ক্লায়েন্ট এর অতীতের চাহিদা সম্পর্কে ও ধারণা রাখতে হবে। পূর্বে ক্লায়েন্ট কেমন লোগো ডিজাইন করিয়েছেন, কেমন বাতিল করেছেন, কেন করেছেন ইত্যাদি সম্পর্কে জেনে নিলেই আপনি ক্লায়েন্টের রুচিবোধ সম্পর্কে একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। এতে আপনার লোগো ডিজাইন করতে সুবিধা হবে। আপনাদের সুবিধার জন্য লোগো ডিজাইন করার জন্য কিছু টিপস নিচে দেওয়া হলো –
ব্র্যান্ড সম্পর্কে জেনে নিনঃ একজন লোগো ডিজাইনার হিসেবে অবশ্যই আগে আপনাকে ব্র্যান্ড সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। ব্র্যান্ড এর পণ্য গুলো সম্পর্কে ভালো করে না জানলে আপনি লোগোতে ম্যাসেজটি দিতে পারবেন না। ক্লায়েন্ট এর দেওয়া ডিজাইন ব্রিফ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নিন না বুঝলে তাকে প্রশ্ন করুন। এর পর ও যদি আপনি ক্লিয়ার না হয়ে থাকুন সেই ব্র্যান্ড সম্পর্কে সম্পুর্ণ রিসার্চ করুন। তার অতীত এবং ববর্তমান সম্পর্কে ও জেনে নিন।
ব্র্যান্ড এর টার্গেট কাষ্টমার কে তা জেনে নিনঃ প্রতিটি ব্র্যান্ড এর সাথে তার গ্রাহকগণ ওতোপ্রোতোভাবে জড়িয়ে থাকে। তাই একজন দক্ষ লোগো ডিজাইনার হিসেবে নিজেকে গড়তে চাইলে গ্রাহকদের দৃষ্টিভংগিকে গুরুত্ব দিন। কারণ গ্রাহকদের কাছে যদি লোগো দ্বারা কোন ম্যাসেজ পৌছাতে না পারেন তাহলে সেই লোগো মূল্যহীন। গ্রাহকদের চাওয়া-পাওয়া অথবা ব্র্যান্ড বর্তমান এর সার্ভিসসমূহ গ্রাহকদের সন্তুষ্ট করছে কিনা সেটা জেনে নিন। আপনি লোগো ডিজাইন করার পর যদি আপনার আত্মতৃপ্তি আসে এবং আপনি যদি গ্রাহকদের চাওয়া-পাওয়া কে লোগোতে ফুটিয়ে তুলতে পারেন তাহলেই আপনি একজন সফল লোগো ডিজাইনার।
ডিজাইনে সিম্পলিসিটি বজায় রাখতে হবেঃ একটি লোগো পূর্নতা পায় কিছু শেইপ আর ডিজাইনের সমন্বয়ে। একটি ব্র্যান্ডকে একটি সুন্দর লোগোই প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। তাই লোগো ডিজাইন করার সময় এর মূল সারাংশ রাখতে হয় খুব সাধারণ ও সাবলীল। একটু বিবেচনা করে দেখলে বুঝতে পারবেন একজন ডিজাইনার এর ডিজাইন সম্পর্কে সূক্ষ্মদৃষ্টি, দৃষ্টিভঙ্গি ও দক্ষতা প্রকাশ পায় তার তৈরিকৃত লোগো ডিজাইন এর মাধ্যমে। একটি লোগোকে খুব সাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তুলতে না পারলে সময়ের সাথে সাথে আপনার লোগো মানুষের মন থেকে উঠে যেতে পারে।
ডায়নামিক ভাব রেখে লোগো তৈরি করুনঃ বর্তমানে ডায়নামিক ওয়েবসাইটের যুগে কোন কিছুই স্থির থাকে না। এই জন্য লোগো ডিজাইন এর ক্ষেত্রেও ডায়নামিক ভাব রাখাটা দরকার। তার মানে এই না যে আপনি পুরো লোগো ডিজাইনই পরিবর্তন করে দিবেন। কিন্তু বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে বিভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতে এবং দৃষ্টিকোণে যাতে আপনার লোগোটি মানানসই হয় সেই দিকে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। এইসব দিক বিবেচনা করে লোগো ডিজাইন করলেই বিভিন্ন পরিবেশ পরিস্থিতিতে সহজেই গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবে আপনার লোগো। বড় বড় কোম্পানিগুলো এই সব দিক বিবেচনায় রেখে তাদের লোগো সিলেকশন করে থাকে।
লোগোতে বৈচিত্র্যময়তা ফুটিয়ে তুলুনঃ লোগো ডিজাইন করার সময় অবশ্যই আপনার লোগোতে বৈচিত্র্যময়তা রাখা উচিত। কারণ মানুষের বৈচিত্র্য জিনিস সবচেয়ে ভালো লাগে। কোন বৈচিত্র্যময় জিনিস দেখলে তার প্রতি তারা আগ্রহ হয়। এই জন্যই আপনাকে আপনার লোগোতে বৈচিত্র্যময়তা ফুটিয়ে তুলতে হবে যাতে লোগোটি বিজনেস কার্ড, ব্রশিওর, ফ্লায়ার,ব্যানার, ফেষ্টুন,পোস্টার অথবা বিলবোর্ড একইরকম সৌন্দর্য্য বজায় রাখতে পারে। অনেক সময় দেখবেন একটা কিছু লোগো ব্রশিওর কিংবা পোষ্টারে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে কিন্তু যখন একই লোগো কোন বড় মাধ্যম এ দেখা যায় ( যেমন – বিলবোর্ড) তখন তা আর ভালো লাগে না বলতে পারেন মানানসই হয় না। তাই আপনাকে এই জিনিসগুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আপনাকে এমন একটি লোগো ডিজাইন । করতে হবে যাতে সব মাধ্যমেই দর্শক, গ্রাহক অথবা ক্লায়েন্টকে সমানভাবে আকর্ষণ করতে পারে। প্রত্যেক লোগো ডিজাইন এরই এই সব দিক বিবেচনা করে ডিজাইন এর কাজ শুরু করা উচিত। আর একটি দিক খেয়াল রাখতে হবে তা হলো কালার এর দিক। সৌন্দর্য্যকে অনেক গুন বাড়িয়ে তুলতে কালার বা রঙ এর তুলনা হয় না। কিন্তু তাই বলে যেকোনো রং ব্যবহার করলেই হবে না। এমন না হয়ে যায় যে রঙ এর কারনে আপনার লোগোর ব্যাসিক স্ট্রাকচারকেই বিকৃত করে দিল। এই জন্য কালার নির্বাচন করার আগে আপনাকে যথেষ্ট চিন্তা ভাবনা করে লোগোর জন্য পারফেক্ট কালার নির্বাচন করতে হবে।
কালার এবং ফ্রন্ট নির্বাচনঃ আপনাকে আগেই বলা হয়েছে লোগো ডিজাইন এর লোগোর কালার নির্বাচন করতে আপনাকে যথেষ্ট সচেতন হতে হবে। এই রং নির্বাচন এর পাশাপাশি ফ্রন্ট কিংবা টাইপফেইস যাই বলুন না কেন এর নির্বাচন ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কারণ আপনার লোগোতে ব্যবহারকৃত ফ্রন্ট এবং রং দুটোই লোগোর ভেতরের সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে একটা আলাদা আবেদন সৃষ্টি করে। একটি লোগোতে লাল রঙ ব্যবহার করে তাতে একাগ্রতা, ভালোবাসা, আগ্রাসন কিংবা শক্তি ফুটিয়ে তোলা যায়। তেমনি প্রত্যেক রং এর আলাদা ভাষা আছে যা লোগোতে ব্যবহার লরে একেক রকম ভাব প্রকাশ করা যায়। তাই আপনি যে পণ্যের জন্য লোগো তৈরি করছেন না করবেন তার ধরন অর্থাৎ সেই পণ্যের ভাব প্রকাশ হবে এমন রঙ নির্বাচন করে নিবেন। লোগোতে রঙের এই অনুভূতিগুলো ব্যবহার দ্বারাই গ্রাহকের কাছে নির্দিষ্ট পণ্যের গুনাগুন বা তা কি কাজে লাগবে তা সম্পর্কে তুলে ধরে। এই কালার নির্বাচন করতে আপনি ক্লায়েন্ট এর পণ্য সম্পর্কে রিসার্চ করতে পারেন এতে আপনার জন্য লোগো তৈরিতে সুবিধা হবে।
ইউনিক ডিজাইন তৈরিঃ প্রত্যেকটি ডিজাইন এর একটি মৌলিকত্ব থাকা থাকা আবশ্যক। কারণ এই মৌলিকত্বই প্রত্যেকটি লোগোকে অন্য লোগো থেকে আলাদা করে। আর এই জিনিস পারে আপনার তৈরি লোগোকে অন্যান্য পণ্য এর প্রতিষ্ঠান থেকে আলাদা করতে। একটি লোগাতে মৌলিকত্ব তুলে ধরার মাধ্যমেই একজন ডিজাইনার তার সৃজনশীল প্রতিভার প্রকাশ করতে পারে। একটি ইউনিক ডিজাইন তৈরিত মাধ্যমেই একজন ডিজাইনার তার পরিচিতি বাড়াতে পারে যা তার ব্যাক্তিগত বা প্রোফেশনাল কাজে প্রচুর অবদান রাখে।
লোগো হলো একটি চিত্র, চিহ্ন, প্রতীক, অক্ষর বা শব্দ যা দ্বারা কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ড এর পরিচয় ও কাজের ধরন বুঝা যায়। একটু ভেঙে বলি। লোগো হতে পারে কোনো একটি চিত্র, একটি সাধারণ চিহ্ন, অথবা একটি প্রতীক। কখনো কখনো একটি মাত্র বা একাধিক অক্ষর বা শব্দও হতে পারে।
সেটি অক্ষর হোক, বা চিহ্ন বা যাই হোকনা কেনো, তা দ্বারা ওই কোম্পানিটির বা ব্যক্তিটির পরিচয় প্রকাশ পেতে হবে। সেই প্রতিষ্ঠান কি ধরণের কাজ করে থাকে বা সেই ব্র্যান্ডটি আসলে কাদের জন্য কাজ করে এর সবকিছু শুধুমাত্র ওই চিহ্ন দেখেই বোঝা যাবে। তাই হচ্ছে লোগো।
এখন বলি প্রাতিষ্ঠানিক ভাষা শব্দটি কেনো ব্যবহার করলাম এখানে। কারণ লোগো সেই চিহ্ন গুলোকেই বলে, যেগুলো কোনো প্রতিষ্ঠান বা organization তাদের পরিচিতি বৃদ্ধির জন্য এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে করে থাকে। এই প্রতিষ্ঠানটি হতে পারে কোনো ব্র্যান্ড এমনকি কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি ও।
যেমন ধরুন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, কাপড় বা প্রসাধনীর ব্র্যান্ড। কিংবা কোনো শিল্পী, ডিজাইনার বা ফটোগ্রাফার। আপনি কখনো বড় কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ড কে দেখেছেন, যার কোনো লোগো নেই?
দেখেননি, কারণ সব প্রতিষ্ঠানেরই নিজেদেরকে সবার সামনে তুলে ধরার জন্য লোগো রয়েছে। বর্তমানে অনলাইন শপিং ব্র্যান্ড ও তৈরি হচ্ছে প্রচুর।
কেউ অনেকজনকে সাথে নিয়ে তৈরি করছে প্রতিষ্ঠান, কেউবা নিজেই সব কাজ করছে। সব বড় বড় প্রতিষ্ঠানের শুরু তো ছোটো থেকেই হয়।
লোগো ডিজাইন কত প্রকার ও কি কি সে বিষয়ে যাওয়ার আগে একটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া দরকার। প্রশ্ন হলো, যে কোনও চিহ্নই কি লোগো?
এর উত্তর হলো, না। আপনি আপনার ইচ্ছেমতো যেকোনো চিহ্ন একে দিলেই সেটি লোগো হয়ে যাবেনা। সেই চিহ্নটির অর্থ থাকতে হবে। তার রং এবং স্টাইল এমন হতে হবে যেনো তা ওই কোম্পানিকে পুরোপুরি সবার সামনে অর্থবহ করে তুলে ধরতে পারে।
লোগো হচ্ছে এমন একটি চিত্র বা প্রতীক যা কোন প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি বহন করে। আমরা আমাদের চারপাশের প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে একটি আলাদা লোগো ব্যবহার করতে দেখি। সেটা হতে পারে ব্যবসায়িক কিংবা সামাজিক প্রতিষ্ঠান। তারা তাদের প্রতিষ্ঠানের পরিচিতির জন্য একক একটি প্রতীক ব্যবহার করে যা অন্যদের থেকে আলাদা।
যদিও এগুলি সমস্ত টাইপোগ্রাফি এবং চিত্রের সংমিশ্রণ, তবুও প্রতিটি লোগো আপনার ব্র্যান্ডকে আলাদা আলাদা অনুভূতি দেয়। যেহেতু আপনার লোগোটি আপনার প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি বহন করে তাই আপনার এটি সঠিকভাবে নির্বাচন করা উচিত। প্রতিষ্ঠান এবং ধরণভেদে লোগো সাধারনত ৭ ধরণের হয়ে থাকে।
Minimalist Logo মিনিমালিস্ট লোগো :
একজন পেশাদার ডিজাইনার দ্বারা শুধুমাত্র আপনার জন্য ডিজাইন করা একটি কাস্টম মিনিমালিস্ট লোগো দিয়ে আপনার ব্র্যান্ডের ব্যক্তিত্ব দেখান। ধারনা প্রয়োজন? আমরা আমাদের বিশ্বব্যাপী ডিজাইনার সম্প্রদায় থেকে ন্যূনতম লোগোর কিছু আশ্চর্যজনক উদাহরণ সংগ্রহ করেছি। অনুপ্রাণিত হন এবং আজই নিখুঁত মিনিমালিস্ট লোগো ডিজাইনের পরিকল্পনা শুরু করুন।
মিনিমালিস্ট লোগো বলতে সিম্পল ভাবে একবার সাধারন ভাবে যে লোগো করা হয় এ লোগো কোনো ধরাবাধা নিয়ম নেই কোনরকম সিম্পলভাবে লোগোটা তৈরি করতে হয় আমি অন্য যেসব লোগো আছে সেইসব লোগো দেখে আইডিয়া নিয়ে সেখান থেকেও আমি মিনিমালিস্ট লোগো তৈরি করতে পারি তাই মিনিমালিস্ট লোগো একেবারে সহজ ও সিম্পল তাই আমরা জানবো মিনিমালিস্ট লোগো সহজভাবে যে লোগো করা হয়.
|
minimalist logo |
3D Logo ( 3D লোগো ) :
3D লোগো তৈরি করার সময় আমরা সেপ বা যে কোনো নাম লিখে সাজিয়ে বা আমি যে ধরনের লোগো তৈরী করতে চাই সেই রকম লোগো বানিয়ে তারপর ইলাস্ট্রেটরে যে 3D অপশন আসলে সেখানে ক্লিক করে তারপর সেই 3D অপশন ঘুরিয়ে পেচিয়ে যেভাবে সুন্দর লাগে সেইভাবে বানাতে হয়. অনেক সময় 3D মোকআপ দিয়েও লেটার বা নাম বা যেকোনো ধরনের ডিজাইন থ্রিডি মকাবে দিলে ওই ডিজাইনটা পরে 3D মত দেখায় আসলে ওটা 3D লোগো ডিজাইন 3D লোগো ডিজাইন মোকআপ বাদে 3D মত দেখা যাবে
|
3D Logo
|
Hand-drawn Logo ( হাতে আঁকা লোগো ) :
হাতে একে তারপর ফটোশপ বা ইলাস্ট্রেটরে নিয়ে সেখানে টুল ব্যবহার করে সেই হাতে আঁকা যেই স্ক্র্যাচ বা হ্যান্ড ড্রয়িং আছে সেটা আঁকতে হয় বা আমি যে কোন একটা ইমেজ বা ছবি বা যেকোনো ধরনের ড্রয়িং আমি গুগল থেকে নিয়ে ইলাস্ট্রেটরে টুল ব্যবহার করে আমি হুবুহু ঐরকম ড্রইং করব তারপর সেই হ্যান্ড ড্রয়িং বিভিন্ন রকম কালার দিয়ে বা যেভাবে দেখতে সুন্দর লাগে বা আমি যেই ধরনের লোগো তৈরি করতে চাই আমি সেইভাবে সেই লোগো তৈরি করব যাতে তার সন্দেহ দেখা যায় আর আমি যদি না পারি তাহলে আমি কয়েকটা হ্যান্ড ড্রইং ডিজাইন ফলো করবো
|
hand-drawn logo |
Vintage Logo ( ভিনটেজ লোগো ) :
Signature Logo ( স্বাক্ষর লোগো ) :
সিগনেচার লোগো তৈরী করার ক্ষেত্রে প্রথমে ব্রাশ সিলেক্ট করব তারপর আমার নাম লিখব বা আমি যেরকম সিগনেচার লোগো বানাতে চাই সেই ভাবে লিখব তারপর সেই সিগনেচার লোগো তাকে বিভিন্ন ভাবে সুন্দর করব বা ডেকোরেশন করব কিভাবে দেখতে তার সঙ্গে সেই ভাবে আমি ডিজাইন করব তারপর কালার দিয়ে তার সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেব
|
Signature Logo |
Lettering Logo ( লেটারিং লোগো ) :
লেটারিং লোগো মূলত Fonts দিয়ে যে লোগো তৈরি করা হয় তাকে লেটারিং লোকে বলে অনেক সময় নাম বা লেটারকে ক্যালিওগ্রাফি করে লোগো ডিজাইন করলে অনেক সুন্দর লাগে আমরা Google থেকে আইডিয়া নিয়ে খুব সুন্দর সুন্দর লোগো ডিজাইন করতে পারি। লোগো ডিজাইন শুধু পুরানাম বা যে কোন শব্দ লিখেই ঘুরিয়ে পেচিয়ে খুব সুন্দর ভাবে লোগো ডিজাইন করতে পারেন। লেটারিং লোগো তৈরি করার ক্ষেত্রে অনেক সময় লেটারিং লোগো সৌন্দর্য সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য কেউ সিম্বল symbols দেয় আবার কেউ দেয় না তবে লোগো তৈরি করার ক্ষেত্রে অনেক সময় দেওয়া যেতে পারে আবার নাও দেওয়া যেতে পারে।
Watercolor Logo ( জল রং লোগো ) :
Geometric Logo ( জ্যামিতিক লোগো ) :
The 7 types of logos (and how to use them)
Though they’re all a combination of typography and images, each type of logo gives your brand a different feel. And since your logo is the first thing new customers will see, you want to make sure you get it right. Want to choose the best logo type for your business? Here are the 7 types of logos you need to know about:
1. Monogram logos (or letter marks) :
বিনামূল্যে লোগো তৈরী শিখতে চান! মনোগ্রাম লোগো বা লেটারমার্কগুলি এমন লোগো যা সাধারণত অক্ষরের সমন্বয়ে থাকে, সাধারণত ব্র্যান্ডের আদ্যক্ষর। আইবিএম, সিএনএন, এইচপি, এইচবিও… একটি প্যাটার্ন লক্ষ্য করছেন।তারা বরং দীর্ঘ নাম সহ কয়েকটি বিখ্যাত ব্যবসায়ের সূচনা করেছে। সহজে মনে রাখতে পারে সেজন্য দুই বা তিন শব্দের সাথে কোম্পানীর প্রত্যেকে ব্র্যান্ড, সনাক্তকরণের উদ্দেশ্যে তাদের অক্ষরের আদ্যক্ষর ব্যবহার করে।সুতরাং তাদের পক্ষে সংস্থাগুলির প্রতিনিধিত্ব করার জন্য মনোগ্রামগুলি কখনও কখনও বলা হয় লেটারমার্ক লোগো।
একটি লেটারমার্ক একটি টাইপোগ্রাফি-ভিত্তিক লোগো যা কয়েকটি অক্ষর সমন্বিত থাকে, সাধারণত একটি সংস্থার আদ্যক্ষর। লেটারমার্ক সব সরলতা সম্পর্কে। মাত্র কয়েকটি অক্ষর ব্যবহার করে লেটারমার্ক লোগোগুলি যে কোনও কোম্পানির ব্র্যান্ডের একটি দীর্ঘ নাম থাকলে তাদের প্রবাহকে কার্যকর করতে কার্যকর।কেননা ফোকাস আদ্যক্ষেত্রের দিকে রয়েছে, আপনি যে ফন্টটি পছন্দ করেছেন (বা তৈরি করবেন) তা নিশ্চিত করার জন্য আপনার লোগোটি কেবলমাত্র আপনার সংস্থা যা করে তা অন-থিমই নয়, তবে আপনি যখন ব্যবসায়িক কার্ডগুলিতে মুদ্রণ করেন। আপনি যদি ইতিমধ্যে একটি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা পরচালনা করেন
তবে আপনি লোগোর নীচে আপনার পুরো ব্যবসায়ের নাম যুক্ত করতে চাইতে পারেন যাতে লোকেরা এখনই আপনি কী তা জানতে পারে।
|
Monogram logos or letter marks |
লেটারমার্ক বা, মনোগ্রাম লোগো (Lettermark or, Monogram Logo )
লেটারমার্ক বা, মনোগ্রাম লোগো নাম থেকে কি বোঝা যাচ্ছে? অক্ষর দিয়ে তৈরি লোগো, তাইতো? হ্যা, লেটারমার্ক বা, মনোগ্রাম লোগো আসলেও তাই। এই লোগো সাধারণত কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম অনেক বড় হলে, যেমন ৩ বা ৪ শব্দের হলে, প্রতিটি শব্দের প্রথম অক্ষর নিয়ে তৈরি করা হয়। কারণ যেকোনো প্রতিষ্ঠানের Logo এমন হওয়া উচিত, যা মানুষ সহজেই মনে রাখতে পারে। যে কোনও অবস্থানের, ভাষার, শিক্ষিত কিংবা অশিক্ষিত মানুষ, সকলেই যেনো তা বুঝতে পারে, একই সাথে বহুদিন মনে রাখতে পারে। এখন, আপনার কোম্পানি নাম যদি অনেক বড় হয়, অনেকেই তা মনে রাখতে পারবেনা। এতে আসলে লোগো তৈরি করার উদ্দেশ্য ই ব্যার্থ হবে। তাছাড়া, বড় নাম লোগো হিসেবে ব্যবহার করাও অসম্ভব। যেমন উদাহরণ হিসেবে আমরা nasa এর কথা বলতে পারি। nasa এর পুরো নাম হলো, National Aeronautics and Space Administration.
মনোগ্রাম logo design
আপনিই বলুন, nasa যদি তার প্রতিষ্ঠানের পুরো নামটি লোগো হিসেবে ব্যবহার করতো, তবে কি কেউ তা মনে রাখতে পারতো? কেউই হয়তো এই নাম কখনো বলতোও না।
তেমনি ভাবে IBM এর পুরো নাম International Business Machines Corporation. এর লোগো তৈরি হয়েছে প্রতিটি শব্দের শুধুমাত্র প্রথম অক্ষর নিয়ে।
ঠিক একই ভাবে, Cable News Network এর লোগো CNN, LG হলো Lucky goldstar এর লোগো, Heulette Packard এর লোগো hp এবং Home Box Office এর প্রতি শব্দের প্রথম অক্ষর নিয়ে এর লোগো হয়েছে HBO.
লেটারমার্ক লোগো নতুন প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করতে পারবে। তবে, নতুন প্রতিষ্ঠান গুলো লেটারমার্ক বা, মনোগ্রাম লোগো ব্যবহার করার ক্ষেত্রে, লোগো এর নিচে ছোটো করে কোম্পানির পুরো নাম লিখে তা ব্যবহার করতে হবে, যতদিন না প্রতিষ্ঠানটি সকলের কাছে পরিচিতি পায়।
মনোগ্রাম বা লেটারমার্ক হচ্ছে এমন লোগো যা এক বা একাধিক অক্ষরের সমন্বয়ে তৈরি হয়ে থাকে, সাধারণত ব্র্যান্ডের আদ্যক্ষর। IBM, CNN, HP, HBO প্রতিষ্ঠানগুলোর লোগোতে একটি প্যাটার্ন লক্ষ্য করবেন। তারা দীর্ঘ নামসহ তাদের ব্যবসায়ের সূচনা করেছিল। পরবর্তীতে 2 বা 3 শব্দ দিয়ে তারা ব্র্যান্ড-সনাক্তকরণের উদ্দেশ্যে তাদের আদ্যক্ষর ব্যবহার করে।
সুতরাং, প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ব্যবহারকৃত লেটারমার্ক লোগো তাদের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেয়। লেটারমার্ক লোগো অত্যন্ত সরল। কিন্তু মাত্র কয়েকটি অক্ষর ব্যবহার করে লেটারমার্ক লোগোগুলি যে কোনও ব্র্যান্ডের একটি দীর্ঘ নাম থাকলেও তাদের প্রবাহকে কার্যকর করতে সক্ষম।
2. Wordmarks (or logotypes) :
লেটারমার্কের অনুরূপ, একটি ওয়ার্ডমার্ক বা লোগোটাইপ হ’ল ফন্ট-ভিত্তিক লোগো যা কেবলমাত্র ব্যবসায়ের নামকে কেন্দ্র করে।যেমন ধরুন ভিসা এবং কোকাকোলা যে ভাবে লোগো তৈরী করেছেন। ওয়ার্ডমার্ক লোগোগুলি সত্যই ভাল কাজ করে যখন কোনও সংস্থার একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্বতন্ত্র নাম থাকে।তখন এই ধরনের লোগো তৈরী খুব কাজে লাগে। গুগলের লোগো এটির দুর্দান্ত উদাহরণ। নামটি নিজেই আকর্ষণীয় এবং স্মরণীয় তাই শক্তিশালী টাইপোগ্রাফির সাথে মিলিত হলে লোগোটি শক্তিশালী ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি তৈরি করতে সহায়তা করে।
এছাড়াও, একটি লেটারমার্ক লোগো মত, টাইপোগ্রাফি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হবে। যেহেতু ফোকাসটি আপনার নামের উপর থাকবে, আপনি একটি ফন্ট বাছাই করতে চাইবেন — বা একটি ফন্ট তৈরি করতে চান — যা আপনার ব্যবসাটি কী করে তার মর্মটি ক্যাপচার করে। উদাহরণস্বরূপ, ফ্যাশন লেবেলগুলি পরিচ্ছন্ন, মার্জিত ফন্টগুলি ব্যবহার করে যা উচ্চ-শেষ বলে মনে করে, যখন আইনী বা সরকারী সংস্থাগুলি প্রায় সর্বদা সুরক্ষিত বোধ করে ঐতিহ্যবাহী পাঠ্যের সাথে লেগে থাকে।
আপনার ক্লায়েন্ট বা ডিজাইনারকে জিজ্ঞাসা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ লোগো তৈরী সংক্রান্ত প্রশ্ন ঃ
আপনার লোগো মকআপগুলি এই টেম্পলেটগুলির সাহায্যে তাদের সেরা দেখান যদি আপনার ব্যবসায়টির দীর্ঘ নাম হয় তবে একটি লেটারমার্ক লোগো বিবেচনা করুন। আদ্যক্ষেত্রে ব্যবসায়ের নাম সংশ্লেষ করা আপনার নকশাটিকে সহজতর করতে সহায়তা করবে এবং তেমনি গ্রাহকরা আপনার ব্যবসা এবং আপনার লোগোটি পুনরায় স্মরণ করতে আরও সহজ সময় পাবে।ওয়ার্ডমার্ক হ’ল একটি ভাল সিদ্ধান্ত যদি আপনি নতুন ব্যবসা হন এবং আপনার নামটি সেখানে খুঁজে পাওয়া দরকার, কেবলমাত্র নামটি ডিজাইনের সুবিধা নেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট তা নিশ্চিত করুন। খুব দীর্ঘ যে কোনও জিনিস খুব বিশৃঙ্খল দেখতে পারে।ওয়ার্ডমার্ক লোগো হ’ল একটি ভাল ধারণা যদি আপনার কোনও স্বতন্ত্র ব্যবসায়ের নাম থাকে যা গ্রাহকদের মনে আটকে থাকবে। আপনার নামটি দুর্দান্ত, ডিজাইন করা ফন্টে রাখা আপনার ব্র্যান্ডকে সমস্ত স্টিকায়ার করে তুলবে।
উভয় লেটারমার্ক এবং ওয়ার্ডমার্ক লোগো বিপণন উপাদান এবং ব্র্যান্ডিং জুড়ে প্রতিলিপি করা সহজ, এইভাবে তাদের একটি নতুন, এবং বিকাশকারী, ব্যবসায়ের জন্য অত্যন্ত অভিযোজিত বিকল্প তৈরি করে।
|
Wordmarks or logotypes |
মনে রাখবেন যে কোনও লেটারমার্ক বা ওয়ার্ডমার্ক লোগো তৈরি করার সময় আপনি বিচক্ষণ হতে চান। একা ফন্টে আপনার ব্যবসায়ের নাম সম্ভবত আপনার ব্র্যান্ডের উপদ্রব ক্যাপচারের জন্য যথেষ্ট আলাদা হবে না। সুতরাং নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনি এমন কোনও পেশাদার নিয়োগ করেছেন যার বিশদ নজর রাখবেন।
ওয়ার্ডমার্ক লোগো ও লেটারমার্ক লোগোর মতই। তবে, এই ধরণের লোগো ডিজাইনে কোম্পানির নাম একটি শব্দের হয়ে থাকে এবং পুরো নামটাই লোগো হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
যেমন, আমরা fedex কোম্পানির কথা জানি, nescafe এর লোগো আমরা দেখি। এখানে কিন্তু কোম্পানির পুরো নামটাই লোগো হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
এছাড়া, Disney, Canon, visa, Coca-Cola, Google, ebay, alibaba – এগুলো কিছু পৃথিবী খ্যাত কোম্পানি যারা কিনা তাদের প্রতিষ্ঠানের পুরো নাম কেই লোগো হিসেবে ব্যবহার করছে।
এই ধরণের লোগো ডিজাইন একেবারে নতুন প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি অত্যন্ত সুন্দর choice হতে পারে। যেই প্রতিষ্ঠান গুলোর নাম এক শব্দের এবং ছোট, তারা চাইলে ওয়ার্ডমার্ক লোগো ব্যবহার করতে পারে খুব সহজেই।
বিভিন্ন কাপড় ব্র্যান্ড, photographer, শিল্পী, বই লেখক, এবং fashion ব্র্যান্ড গুলো ওয়ার্ডমার্ক লোগো ব্যবহার করে থাকে।
ওয়ার্ডমার্ক লোগো হলো ফন্ট-ভিত্তিক লোগো যা কেবলমাত্র ব্যবসায়ের নামকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়ে থাকে। ভিসা এবং কোকাকোলার কথা চিন্তা করুন। ওয়ার্ডমার্ক লোগোগুলি সত্যই ভাল কাজ করে যখন কোনও সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্বতন্ত্র নাম থাকে। গুগলের লোগো এটির দুর্দান্ত উদাহরণ। নামটি নিজেই আকর্ষণীয় এবং স্মরণীয়। তাই টাইপোগ্রাফির সাথে মিলিত হয়ে লোগোটি ফেমাস ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি তৈরি করতে সহায়তা করে।
ওয়ার্ডমার্ক লোগো অনেকটা লেটারমার্কের অনুরূপ। যেহেতু ফোকাসটি প্রতিষ্ঠানের নামের উপর থাকবে, আপনি এমন একটি ফন্ট বাছাই বা তৈরি করবেন যা আপনার ব্যবসায়ের ধরণ সুস্পষ্ট করে। উদাহরণস্বরূপ, ফ্যাশন প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের লোগোতে পরিচ্ছন্ন এবং মার্জিত ফন্ট ব্যবহার করে যা গ্রাহকদের উচ্চাভিলাসীতার অনুভূতি দেয় । তেমনি আইনী বা সরকারী সংস্থা সর্বদা সুরক্ষিত মনে হয় তাদের লোগোতে “ভারী” ফন্ট ব্যবহার করার কারনে।
লেটারমার্ক এবং ওয়ার্ডমার্ক লোগো কখন ব্যবহার করবেনঃ
যদি আপনার ব্যবসায়ের দীর্ঘ নাম হয় তবে একটি লেটারমার্ক লোগোর কথা বিবেচনা করুন। যা প্রতিষ্ঠানের নাম সংক্ষিপ্ত করার পাশাপাশি নকশাটি সহজতর করতে সহায়তা করবে। তেমনি গ্রাহকরা লোগো দেখেই আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সহজেই পুনরায় স্মরণ করতে পারবে।
ওয়ার্ডমার্ক লোগো একটি ভাল সিদ্ধান্ত, যদি আপনি নতুন ব্যবসায়ী হন। কারন, আপনার প্রতিষ্ঠানের নামটি সকলকে জানানো দরকার। পাশাপাশি নামটি ডিজাইনের সুবিধার্থে যথেষ্ট সহজ করুন। কারন, দীর্ঘ কোনও জিনিস খুব এলোমেলো দেখাতে পারে।
ওয়ার্ডমার্ক লোগো একটি ভাল ধারণা, যদি আপনার ব্যবসায়ের স্বতন্ত্র নামকে গ্রাহকদের মনে আটকে রাখতে চান। আপনার নামটি দুর্দান্ত ফন্টে ডিজাইন করা হলে, আপনার লোগোটিই হবে আপনার ব্র্যান্ডের সারমর্ম।
লেটারমার্ক এবং ওয়ার্ডমার্ক লোগো যেকোন ব্র্যান্ডিং জুড়ে প্রতিলিপি করে। যা একটি নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে।
কোনও লেটারমার্ক বা ওয়ার্ডমার্ক লোগো তৈরি করতে হলে আপনাকে বিচক্ষণ হতে হবে। একটি ফন্ট আপনার ব্যবসায়ের নাম এবং আপনার ব্র্যান্ডের উপদ্রব ক্যাপচারের জন্য যথেষ্ট হবে না। লোগো তৈরীর ক্ষেত্রে এসব বিষয়গুলো বিশদ নজর রাখবেন।
3. Pictorial marks (or logo symbols)(সচিত্র চিহ্ন (বা লোগো চিহ্ন)
পিকটোরিয়াল এবং মাস্কটস লোগো কখন ব্যবহার করবেনঃ
মাস্কটস লোগোর চিহ্নটি জটিল হতে পারে। এটি অনেক কার্যকরী হবে যদি আপনার একটি প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ড থাকে। তবে এটি কোন কঠিন নিয়ম নয়। আপনার প্রতিষ্ঠানের নামটি যদি দীর্ঘ হয় তবে আপনার ব্যবসায়টির ধরণ গ্রাফিক্যালি উপস্থাপন করতে ব্র্যান্ডমার্ক ব্যবহার করতে পারেন। যেকোন পছন্দসই ধারণা বা আবেগ ফুটিয়ে তুলতে সেগুলো কার্যকর ভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
পিকটোরিয়াল এবং এ্যাবস্ট্রাক্ট চিহ্নগুলো বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্যও বেশ ভাল কাজ করে। এবং কোনও ব্যবসায়ের নাম অনুবাদে ভাল ধারণা দেয়।
আপনি যদি ভবিষ্যতে আপনার ব্যবসায়ের মডেলটিতে পরিবর্তনের প্রত্যাশা করেন তবে সচিত্র চিহ্নটি সেরা ধারণা নাও হতে পারে। আপনি পিজ্জা বিক্রির জন্য আপনার লোগোতে একটি পিজ্জা ব্যবহার করতে পারেন। তবে পরবর্তীতে আপনি যদি স্যান্ডউইচ বা বার্গার উৎপাদন এবং বিক্রি শুরু করেন তখন কী ঘটবে?
এ্যাবস্ট্রাক্ট চিহ্নগুলি আপনাকে আপনার ব্যবসায়ের জন্য সম্পূর্ণ ইউনিক চিত্র তৈরি করে দেয় তবে পেশাদারদের দ্বারা ডিজাইন করালে সবচেয়ে ভাল হয়। যারা বোঝেন কীভাবে রঙ, আকৃতি এবং কাঠামো আইডিয়া তৈরিতে একত্রিত হয়।
|
Pictorial marks (or logo symbols) |
আপনি যদি ছোট বাচ্চাদের বা পরিবারের আর্কষন করার চেষ্টা করেন তবে একটি মাস্কটস লোগো তৈরির কথা চিন্তা করুন। মাস্কটসটির একটি বড় সুবিধা হলো এটি গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষনে উৎসাহিত করতে পারে তাই এটি সোশ্যাল মিডিয়া বিপণনের পাশাপাশি রিয়েল ওয়ার্ল্ড মার্কেটিং ইভেন্টগুলোর দুর্দান্ত সরঞ্জাম।
মনে রাখবেন যে মাস্কটস একটি সফল লোগো এবং ব্র্যান্ডের কেবল একটি অংশ, আপনি এটি আপনার সমস্ত বিপণন সামগ্রীতে ব্যবহার করতে সক্ষম নাও হতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, একটি বিশদ চিত্র কোনও ব্যবসায়িক কার্ডে ভালভাবে মুদ্রণ করা যায় না। সুতরাং, সামঞ্জস্য চিহ্ন হিসাবে পরবর্তী লোগোর নকশায় কিছু বিকল্প লোগো বেচনায় রাখুন।
পিক্টোরিয়াল মার্ক লোগো বা, ব্র্যান্ডমার্ক লোগো বা, লোগো সিম্বল
পিক্টোরিয়াল মার্ক লোগো বা, ব্র্যান্ডমার্ক লোগো (Pictorial Mark Logo or, Brandmark Logo or, Logo Symbols) কিছুটা abstract লোগোর মতই।
এই লোগো ডিজাইন ও চিত্র বা প্রতীক দিয়ে তৈরি করা হয়। তবে পার্থক্য হচ্ছে এই ধরণের লোগোতে যে চিত্রটি ব্যবহার করা হয়,সেটি একটি আইকন এর মতো হয় এবং বাস্তবে এর অর্থও রয়েছে। সাধারণত লোগো শব্দ টি বললেই আমাদের মনে যা আসে, Pictorial logo তাই।
এমনি কিছু পৃথিবী খ্যাত কোম্পানি হলো, Apple কোম্পানী, টুইটার। আপনাকে যখনই apple কোম্পানির নাম বলা হয়, সাথে সাথে চোখের সামনে apple এর একটি চিত্র ভেসে ওঠে।
পিক্টোরিয়াল মার্ক logo
টুইটার এর ছোট্ট নীল বার্তা বাহক পাখি টিকে দেখলেই আমরা বুঝে ফেলি এটি টুইটার এর লোগো।
কিংবা target bulleye এর কথাই ভাবুন। চোখের সামনে তার লাল রঙের তিনটি বৃত্ত যুক্ত লোগোটি কি ভেসে উঠছেনা, যা দিয়ে আসলে ষাড়ের চোখ বুঝানো হয়েছে?
এই ধরণের লোগো ডিজাইনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কঠিন কাজটি হলো, সঠিক চিত্র নির্ধারণ করা। কখনো কখনো এই চিত্র টি কোম্পানির খুব গভীর কোনো অর্থ প্রকাশ করে।
যেমন snapchat এর সাদা ভুত টি। আবার কখনো প্রকাশ পায় অনুভুতি। ভেবে দেখুন তো world wildlife foundation এর পাণ্ডা টির কথা! যা একটি বিলুপ্ত প্রায় প্রাণীর কথা বলছে!
Abstract logo এর মতই, Pictorial লোগো ও নতুন কোম্পানি গুলোর জন্য উপযুক্ত Logo ডিজাইন নয়।
চিত্রের চিহ্ন লোগো তৈরী (বা লোগো প্রতীক) {Pictorial marks/logo symbols}
চিত্রের চিহ্ন (কখনও কখনও ব্র্যান্ড চিহ্ন বা লোগো চিহ্ন হিসাবে পরিচিত) একটি আইকন — বা গ্রাফিক-ভিত্তিক লোগো। আপনি যখন “লোগো” ভাবেন তখন সম্ভবত এটি চিত্রটি মনে আসে: আইকনিক অ্যাপল লোগো, টুইটার পাখি, টার্গেট বুলসিয়ে। এই কোম্পানির প্রতিটি লোগো এতটাই প্রতীকী এবং প্রতিটি ব্র্যান্ড এতটাই প্রতিষ্ঠিত, যে একা চিহ্নটি তাত্ক্ষণিকরূপে স্বীকৃত হয়। সত্যিকারের ব্র্যান্ড চিহ্নটি কেবল একটি চিত্র। এ কারণে, এটি নতুন সংস্থাগুলির জন্য বা শক্ত ব্র্যান্ডের স্বীকৃতিবিহীন, ব্যবহারের জন্য একটি জটিল লোগো ধরণের হতে পারে।
চিত্রাঙ্কিত চিহ্ন নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সবচেয়ে বড় বিষয়টি বিবেচনা করার বিষয়টি হ’ল কোন চিত্রটি চয়ন করা উচিত। এটি এমন কিছু যা আপনার সংস্থার সম্পূর্ণ অস্তিত্বের সাথে লেগে থাকবে। আপনি যে চিত্রটি চয়ন করেছেন তার বিস্তৃত প্রভাব সম্পর্কে আপনাকে ভাবতে হবে: আপনি কি নিজের নামে খেলতে চান (জন ডিয়ার যেমন হরিণ লোগো দিয়েছিলেন)? অথবা আপনি গভীর অর্থ তৈরি করতে চাইছেন (কীভাবে স্ন্যাপচ্যাট ভূত আমাদের জানায় পণ্যটি কী করে)?
4. Abstract logo marks বিমূর্ত লোগো চিহ্ন :
Abstract Logo হলো এমন ধরণের কিছু চিহ্ন বা প্রতীক, যার বাস্তবে কোনো অর্থ নেই। কিন্তু সেই চিহ্ন টি যেই প্রতিষ্ঠানের জন্য তৈরি করা হয়েছে, তাকে সম্পূর্ণ ভাবে represent করতে পারে।
এই ধরণের লোগো ডিজাইন মূলত জ্যামিতিক আকার বা geometrical form এ করা হয়। Abstract Logo আসলে কোনো প্রতিষ্ঠানকে represent করার জন্য একটি অত্যন্ত ভালো choice হতে পারে।
কারণ, এই ধরণের ডিজাইন কোনো traditional চিহ্ন নয়, এটি একটি ইউনিক ডিজাইন, যা ওই ব্র্যান্ডকে সবার মধ্যে আলাদা করে তুলে ধরে এবং ডিজাইন এর সাথে প্রতিষ্ঠানের কাজের ধরন ও খুব সুন্দর ভাবে মিশে যায়।
তাছাড়া, এই লোগো ডিজাইন এর রঙ এবং স্টাইল ও ভিন্ন ধরণের হয়, যা ওই কোম্পানির emotion ও বহন করে। কিছু অতি জনপ্রিয় Abstract Logo design এর উদাহরন হলো, bp এর লোগো, যাতে দেখে মনে হচ্ছে একটি তারা বার্স্ট হচ্ছে। Pepsi এর Logo, Nike Logo. এছাড়াও adidas এর logoও abstract logo design এর উদাহরন ।
অ্যাবস্ট্রাক্ট লোগো ডিজাইন
শুধুমাত্র abstract একটি চিহ্ন বা Logo নতুন কোনো প্রতিষ্ঠানের ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ এই চিহ্ন দেখে নতুন প্রতিষ্ঠান টি সম্পর্কে কেউ কিছু বুঝতে বা জানতে পারবেনা।
সাধারণত, পুরোনো প্রতিষ্ঠান যাদের ইতোমধ্যেই সকলের কাছে পরিচিতি রয়েছে, তারা তাদের লোগো সামান্য পরিবর্তন করে Abstract Logo তে পরিণত করতে পারে।
|
Abstract logo marks |
5এ্যাবস্ট্রাক্ট লোগো বলতে বোঝায় একটি বিমূর্ত চিহ্ন বা একটি নির্দিষ্ট ধরণের চিত্রাঙ্কিত লোগো। কোনও আপেল বা পাখির মতো স্বীকৃত চিত্র হওয়ার পরিবর্তে এটি একটি বিমূর্ত জ্যামিতিক ফর্ম যা আপনার ব্যবসায়ের প্রতিনিধিত্ব করে। কয়েকটি বিখ্যাত উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে BP, PEPSI, ADIDAS -এ ব্যবহৃত লোগোগুলি।
সমস্ত প্রতীক লোগো গুলির মতো, এ্যাবস্ট্রাক্ট চিহ্নগুলিও সত্যিই ভাল কাজ করে। কারণ, তারা আপনার ব্র্যান্ডকে একক চিত্রতে পরিনত করে। যাইহোক, চিহ্নিতযোগ্য কোনও কিছু ছবিতে সীমাবদ্ধ না রেখে, এ্যাবস্ট্রাক্ট লোগো আপনাকে আপনার ব্র্যান্ডেকে উপস্থাপনের জন্য বাস্তবসম্মত ইউনিক তৈরি করতে সাহায্য করে।
এ্যাবস্ট্রাক্ট চিহ্নের সুবিধাটি হলো আপনি কোনও নির্দিষ্ট চিত্রের সাংস্কৃতিক প্রভাবে নির্ভর না করে আপনার ব্রান্ডকে প্রতীকীভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হবেন রঙ এবং ফর্মের মাধ্যমে। আপনি লোগোর অর্থকে বিস্তৃর করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, NIKE লোগোতে কীভাবে আন্দোলন এবং স্বাধীনতা প্রকাশ করা হয়েছে একবার ভেবে দেখুন।
একটি বিমূর্ত চিহ্ন একটি নির্দিষ্ট ধরণের চিত্রাঙ্কিত লোগো। কোনও আপেল বা পাখির মতো স্বীকৃত চিত্র হওয়ার পরিবর্তে এটি একটি বিমূর্ত জ্যামিতিক ফর্ম যা আপনার ব্যবসায়ের প্রতিনিধিত্ব করে। কয়েকটি বিখ্যাত উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে বিপি স্টারবর্স্ট-ওয়াই লোগো, পেপসি বিভাজিত বৃত্ত এবং স্ট্রিপ-ই অ্যাডিডাস ফুল। সমস্ত লোগো প্রতীকগুলির মতো, বিমূর্ত চিহ্নগুলি সত্যই ভাল কাজ করে কারণ তারা আপনার ব্র্যান্ডকে একক চিত্রতে আকশন করে। যাইহোক, সনাক্তযোগ্য কোনও কিছুর ছবিতে সীমাবদ্ধ না রেখে, বিমূর্ত লোগো আপনাকে আপনার ব্র্যান্ডের উপস্থাপনের জন্য সত্যিকারের অনন্য কিছু লোগো তৈরি করতে দেয়।
বিমূর্ত চিহ্নের সুবিধাটি হ’ল আপনি কোনও নির্দিষ্ট চিত্রের সাংস্কৃতিক প্রভাবগুলিতে নির্ভর না করে আপনার সংস্থা প্রতীকীভাবে কী করে তা আপনি জানাতে সক্ষম হন পুনরায় রঙ এবং ফর্মের মাধ্যমে, আপনি অর্থকে গুণিত করতে পারেন এবং আপনার ব্র্যান্ডের চারপাশে সংবেদন তৈরি করতে পারেন। (উদাহরণস্বরূপ, নাইকে কীভাবে আন্দোলন এবং স্বাধীনতা বোঝায় তা ভেবে দেখুন)
5. Mascots Logo ( মাসকট লোগো ) :
মাস্কটস এমন একটি লোগো যা কোন চিত্রিত চরিত্রের সাথে জড়িত। যা সাধারনত বর্ণময়, কখনও কখনও কার্টুনিশ এবং মজাদার। মাস্কটস লোগোটি আপনার নিজস্ব ব্র্যান্ডের মুখপাত্রের প্রতিকৃতি তৈরির দুর্দান্ত উপায়। একটি মাস্কটস লোগো কেবল একটি চিত্রিত চরিত্র যা আপনার প্রতিষ্ঠানকে উপস্থাপন করে। যাকে আপনি আপনার ব্যবসায়ের দূত হিসাবে ভাবতে পারেন। বিখ্যাত মাস্কটসগুলির মধ্যে কুল-এইড ম্যান, কেএফসি’র কর্নেল এবং প্ল্যান্টারের মিঃ চিনাবাদ রয়েছে। মাস্কটসগুলি এমন প্রতিষ্ঠানের জন্য উপযোগী যেগুলি পরিবার এবং বাচ্চাদের কাছে আবেদন করে একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে চায়।
|
Mascots Logo |
মাসকট লোগো হলো সেই ধরণের লোগো, যাতে বিভিন্ন character ব্যবহার করা হয় । যেমন KFC এর লোগো, Pringles এর লোগো। KFC বললেই আমরা এই লোগো তে Colonel কে দেখতে পাই ।এছাড়া gaming প্রতিষ্ঠানের অনেকেই বর্তমানে মাসকট লোগো ব্যবহার করে থাকেন।
মাসকট লোগো তে ব্যবহৃত character বা চরিত্রটি সাধারণত খুবই আকর্ষণীয় এবং ইন্টারেস্টিং হয়ে থাকে। এই লোগো তে প্রধান ফোকাস থাকে চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তোলা। আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রধান টার্গেট client যদি পরিবার ও শিশুরা হয়, তবে এই লোগো হবে আপনার best choice.
মাস্কট লোগোগুলি এমন একটি লোগো যা চিত্রিত চরিত্রের সাথে জড়িত। প্রায়শ বর্ণময়, কখনও কখনও কার্টুনিশ এবং সর্বদা মজাদার, মাস্কট লোগোটি আপনার নিজস্ব ব্র্যান্ডের মুখপাত্র।
একটি মাসকট এটি কেবল একটি চিত্রিত চরিত্র যা আপনার সংস্থাকে উপস্থাপন করে। এগুলিকে আপনার ব্যবসায়ের দূত হিসাবে ভাবেন। বিখ্যাত মাস্কটগুলির মধ্যে কুল-এইড ম্যান, কেএফসি’র কর্নেল এবং প্ল্যান্টারের মিঃ চিনাবাদ রয়েছে। মাস্কটগুলি এমন সংস্থাগুলির জন্য দুর্দান্ত যেগুলি পরিবার এবং বাচ্চাদের কাছে আবেদন করে একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে চায়। ক্রীড়া ইভেন্টগুলিতে এই সমস্ত মাস্কটগুলি এবং দর্শকদের সাথে জড়িত হয়ে তারা তৈরি করা দুর্দান্ত গতিশীলতার কথা চিন্তা করুন!
ছবি এবং প্রতীক লোগো কখন ব্যবহার করবেন
একাকী চিত্রের চিহ্নটি জটিল হতে পারে। এটি ইতিমধ্যে কার্যকর যদি আপনার কাছে ইতিমধ্যে একটি প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ড থাকে তবে এটি কঠোর এবং কঠোর নিয়ম নয়। আপনার নামটি যদি দীর্ঘ হয় তবে গ্রাফিকভাবে আপনার ব্যবসায় কী করে তা আপনি ব্র্যান্ডমার্কগুলি ব্যবহার করতে পারেন এবং পছন্দসই ধারণা বা আবেগ জানাতে সেগুলি কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
চিত্রগত এবং বিমূর্ত চিহ্নগুলি বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্যও বেশ ভাল কাজ করে যদি উদাহরণস্বরূপ, কোনও ব্যবসায়ের নাম অনুবাদে নিজেকে ভাল ধার দেয় না।
আপনি যদি ভবিষ্যতে আপনার ব্যবসায়ের মডেলটিতে পরিবর্তনের প্রত্যাশা করেন তবে সচিত্র চিহ্নটি সেরা ধারণা নাও হতে পারে। আপনি পিজ্জা বিক্রি শুরু করতে পারেন এবং আপনার লোগোতে একটি পিজ্জা ব্যবহার করতে পারেন তবে আপনি যখন স্যান্ডউইচ বা বার্গার বিক্রি শুরু করেন বা এমনকি উত্পাদন শুরু করেন তখন কী ঘটে?
বিমূর্ত চিহ্নগুলি আপনাকে আপনার ব্যবসায়ের জন্য সম্পূর্ণ অনন্য চিত্র তৈরি করতে দেয়, তবে পেশাদার, যারা বর্ণ, আকৃতি এবং কাঠামো কীভাবে অর্থ তৈরি করতে সম্মিলিত হয় তা ডিজাইন করা সবচেয়ে ভাল
আপনি যদি ছোট বাচ্চাদের বা পরিবারের কাছে আবেদন করার চেষ্টা করছেন তবে একটি মাস্কট তৈরির কথা চিন্তা করুন। মাস্কটটির একটি বড় সুবিধা হ’ল এটি গ্রাহকদের মিথস্ক্রিয়াকে উত্সাহিত করতে পারে তাই এটি সোশ্যাল মিডিয়া বিপণনের পাশাপাশি রিয়েল ওয়ার্ল্ড মার্কেটিং ইভেন্টগুলির দুর্দান্ত সরঞ্জাম। মানে, পিলসবারি ডফবয়ের সাথে কে সেলফি তুলতে চায় না?
মনে রাখবেন যে একটি মাস্কট একটি সফল লোগো এবং ব্র্যান্ডের কেবল একটি অংশ, এবং আপনি এটি আপনার সমস্ত বিপণন সামগ্রীতে ব্যবহার করতে সক্ষম নাও হতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, একটি অত্যন্ত বিশদ চিত্রটি কোনও ব্যবসায়িক কার্ডে ভালভাবে মুদ্রণ করতে পারে না। সুতরাং নীচের সামঞ্জস্য চিহ্ন হিসাবে পরবর্তী ধরণের লোগো নকশায় কিছু বিবেচনা রাখুন।
6. The combination mark সংমিশ্রণ চিহ্ন কম্বিনেশন মার্ক লোগো
কম্বিনেশন লোগো হলো এমন একটি লোগো যা ওয়ার্ডমার্ক বা লেটারমার্ক সম্মিলিত এবং এটি পিকটোরিয়াল, এ্যাবস্ট্রাক্ট চিহ্ন বা মাস্কটস সমন্বিত। এই লোগোতে চিত্র এবং টেক্স পাশাপাশি স্থাপন করা যেতে পারে, একে অপরের শীর্ষে সজ্জিত করা, বা একত্রিত করা যেতে পারে। কিছু সুপরিচিত কম্বিনেশন মার্ক লোগোর মধ্যে রয়েছে ডরিটোস, বার্গার কিং এবং ল্যাকোস্ট।
কোনও নাম ইমেজের সাথে যুক্ত থাকার কারণে, কম্বিনেশন চিহ্নটি বহুমুখী পছন্দ যা আপনার ব্র্যান্ডকে শক্তিশালী করতে একসাথে টেক্সট এবং আইকন বা মাস্কটসের সাথে কাজ করে। কম্বিনেশন চিহ্ন সহ, লোকেরা এখনই আপনার নামটি আপনার মাস্কটসের সাথে যুক্ত করতে শুরু করবে! ভবিষ্যতে আপনি একটি লোগোর উপর একচেটিয়া নির্ভর করতে পারেন এবং সর্বদা আপনার নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে না। যেহেতু একটি চিহ্ন এবং সংমিশ্রণটি একসাথে পৃথক চিত্র তৈরি করে, লোগোগুলি সাধারণত একক চিত্রের চিহ্নের চেয়ে ট্রেডমার্কে সহজ হয়।
|
combination mark logo |
কম্বিনেশন মার্ক বা, কম্বিনেশন লোগোর (Combination Mark or, Combination Logo) আসলে নির্দিষ্ট কোনও গঠন নেই। এই লোগো অন্যান্য লোগো গুলোর একটি বা দুটি মিলে তৈরি হয়। নতুন প্রতিষ্ঠানের জন্য কম্বিনেশন লোগো অসাধারণ একটি choice হতে পারে। এই ধরণের লোগো ডিজাইনে আপনি বেশির ভাগ সময়েই দেখতে পাবেন একটি চরিত্র বা প্রতীক ebong সাথে একটি typography. উদাহরন হিসেবে আমরা বলতে পারি burger king, Pizza hut, doritos, adobe কিংবা jaguar কোম্পানির কথা।এরা প্রত্যেকেই একটি চিত্র এবং সাথে typography ব্যবহার করে লোগো টি তৈরি করেছে। নতুন কোম্পানি গুলো শুরুতে তাদের নাম সহ কম্বিনেশন লোগো তৈরি করলেও, কিছু বছর পর যখন তাদের পরিচিতি অনেক বেড়ে যায়, তখন তারা নামটি বাদ দিয়ে শুধু চিহ্ন ব্যবহার করে থাকে। যেমন apple এর পূর্বের লোগো তে কোম্পানির নাম লিখা থাকলেও বর্তমানে শুধু apple এর আইকন টিই ব্যবহৃত হয়। একই ভাবে, nike এর পূর্বের লোগো তে Nike শব্দটি লেখা থাকতো। কিন্তু এখন আমরা শুধু tick mark দেখেই চিনতে পারি এটি Nike এর লোগো।
7. The emblem (প্রতীক লোগো)
একটি ইমব্লেম লোগোতে একটি চিহ্ন বা একটি আইকনের ভিতরে ফন্ট থাকে। অনেকটা ব্যাজ, সীল এবং ক্রেস্ট এর মতো। এই লোগোগুলি কোন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে একটি ঐতিহ্যবাহী চিত্র উপস্থাপন করে থাকে যা আকর্ষণীয় প্রভাব ফেলতে পারে।
সুতরাং এগুলো সাধারনত অনেক স্কুল, সংস্থা বা সরকারী প্রতিষ্ঠানে বেশী ব্যবহৃত হয়। অটো শিল্পটিও ইমব্লেম লোগোর জন্য খুব উপযুক্ত। তাদের ক্লাসিক ডিজাইন থাকার কারনে, কিছু প্রতিষ্ঠান একবিংশ শতাব্দীর জন্য উপযুক্ত লোগো ডিজাইন দিয়ে ঐতিহ্যবাহী প্রতীক বর্ণকে কার্যকরভাবে আধুনিকায়ন করেছেন।
তাদের অধিক বিবরণের কারণে নাম এবং প্রতীকটি কঠোরভাবে জড়িত থাকার জন্য, তারা ইমব্লেম লোগোর চেয়ে কম বহুমুখী হতে পারে। একটি কঠিন নকশা সমস্ত ব্র্যান্ডিং জুড়ে প্রতিলিপি করা সহজ হবে না। ব্যবসায়ের কার্ডগুলির জন্য, একটি ইমব্লেম চিহ্ন পড়া খুব কঠিন হওয়ার আগে এতটা ছোট হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও, যদি আপনি এই ধরণের লোগো টুপি বা শার্টগুলিতে এমব্রয়ড করার পরিকল্পনা করেন তবে আপনাকে সত্যিকার অর্থে একটি নকশা তৈরি করতে হবে।
Starbucks এর লোগো চেনে না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবেনা। কেমন দেখতে এই Starbuck এর লোগো টি?
|
the emblem logo |
এমব্লেম লোগো বলা হয় সেই লোগো গুলোকে, যাতে লোগো আইকন এর ভেতরে প্রতিষ্ঠানের নাম টি লেখা থাকে। এই ধরণের লোগো সাধারণত দেখতে ব্যাচ, সিল, স্ট্যাম্প বা শীল্ড আকৃতির হয়।
অনেক পুরাতন, ঐতিহ্যবাহী কোনো প্রতিষ্ঠান হলে, তাদের লোগো এমন দেখা যায়। এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোও এই ধরণের Logo ব্যবহার করে থাকে। কিছু এমব্লেম লোগো ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠান হলো Starbucks, Harley davidson, BMW, Lamborghini, Harvard University.
এমব্লেম লোগো
অনেক পুরোনো ঐতিহ্যবাহী ও শক্তিশালী বা প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান গুলো এই লোগো ব্যবহার করে থাকে।
স্টারবাক্স প্রতীক লোগো তবে তাদের উচ্চতর বিশদের দিকে ঝুঁকির কারণে এবং নাম এবং প্রতীকটি কঠোরভাবে আবদ্ধ হওয়ার কারণে, তারা পূর্বোক্ত ধরণের লোগোগুলির তুলনায় কম বহুমুখী হতে পারে। একটি জটিলতর প্রতীক নকশা সমস্ত ব্র্যান্ডিং জুড়ে প্রতিলিপি করা সহজ হবে না। ব্যবসায়ের কার্ডগুলির জন্য, একটি ব্যস্ত চিহ্নটি পড়া খুব বেশি কঠিন হওয়ার আগে এতটা ছোট হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও, আপনি যদি এই ধরণের লোগো টুপি বা শার্টগুলিতে এমব্রয়ড করার পরিকল্পনা করেন, তবে আপনাকে সত্যিকার অর্থে একটি নকশা তৈরি করতে হবে যা সহজ দিকে রয়েছে বা এটি সম্ভব হবে না। সুতরাং নিয়মের হিসাবে আপনার নকশাটিকে জটিল করে তোলেন এবং আপনি সাহসী চেহারা নিয়ে চলে যাবেন যা আপনাকে গ্রাহক পেশাদারের মতো দেখায়।
No comments